পুজোর মুখে বিদ‍্যুৎ বিপর্ষয়ের আশঙ্কা : ৩৫০০ ঠিকা শ্রমিক ধর্মঘটে সামিল তাপবিদ‍্যুৎ কেন্দ্রে

16th October 2020 12:14 pm বাঁকুড়া
পুজোর মুখে বিদ‍্যুৎ বিপর্ষয়ের আশঙ্কা : ৩৫০০ ঠিকা শ্রমিক ধর্মঘটে সামিল তাপবিদ‍্যুৎ কেন্দ্রে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বন্ধ হয়ে যাওয়া বিভিন্ন আর্থিক সুযোগ সুবিধা ও ছুটি সংক্রান্ত বিভিন্ন সুবিধা পুনরায় চালুর দাবিতে আজ থেকে লাগাতার ধর্মঘট শুরু করল বাঁকুড়ার মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঠিকা শ্রমিকরা।  আজ সকাল থেকে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজে যোগ না দিয়ে সমস্ত ঠিকা শ্রমিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি গেটে হাজির হয়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে।  লাগাতার এই ধর্মঘটের জেরে পুজোর মুখেই বড়সড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে এ রাজ্য সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থা। 

দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন পরিচালিত মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুর্ব ভারতের বৃহত্তম তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।  এই কেন্দ্রে কমবেশি সাড়ে তিন হাজার ঠিকা শ্রমিক কাজ করেন।  এই ঠিকা শ্রমিকরাই এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান চালিকা শক্তি। এই ঠিকা শ্রমিকরা ২০১৭ সালের আগে পর্যন্ত নির্দিষ্ট হারে হাউস রেন্ট, বোনাস, হ্যাজার্ড আলাউন্স,  নাইট আলাউন্স, ওভারটাইম, এক্সট্রা পে, হলিডে, সি এল সহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পেতেন। অভিযোগ  ২০১৭ সালের মার্চ মাসের পর থেকে ঠিকা শ্রমিকদের এই সব সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেয় ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে এই সুযোগ সুবিধাগুলি পুনরায় চালুর দাবিতে বারবার আন্দোলনে নেমেছেন ঠিকা শ্রমিকরা।  কিন্তু বারবারই মিলেছে শুকনো আস্বাস।  আজ পর্যন্ত সেই সুযোগ সুবিধা পুনরায় চালু না হওয়ায় আজ থেকে কাজে যোগ না দিয়ে লাগাতার ধর্মঘটের পথে হাঁটে ঠিকা শ্রমিকরা।  এদিকে ঠিকা শ্রমিকরা লাগাতার ধর্মঘটে যাওয়ায় এবার মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরী হয়েছে। এর ফলে ইসিএল,  রেল সহ বিভিন্ন শিল্পে বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি দেখে দিতে পারে। মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে গ্রিডের মাধ্যমে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমে বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ায় পুজোর আগে সমস্যা দেখা দিতে পারে রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিসেবাতেও। 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।